- Get link
- X
- Other Apps
গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে ফরিদপুর সদরের আলীয়াবাদ ইউনিয়নের ভাজনডাঙ্গা ভূঁইয়াবাড়ির ঘাট এলাকায় নদীর পানি ফরিদপুর-চরভদ্রাসন সড়ক উপচে জনপদে ঢুকতে শুরু করে। একপর্যায়ে এলাকাবাসী বালুর বস্তা ফেলে পানিপ্রবাহ বন্ধ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ওমর প্রামাণিক বলেন, সড়ক উপচে পানি ঢুকতে শুরু করলে এলাকার তরুণেরা এগিয়ে আসেন। তাঁরা সড়কের পূর্ব পাশে বালুর বস্তা ফেলে পানিপ্রবাহ কোনো রকমে ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হন।
ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর বাজার এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ বলে পরিচিত গোয়ালন্দ-তাড়াইল সড়কে ফাটলের সৃষ্টি হলে সেখান দিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত এ পানিপ্রবাহ বন্ধ করা যায়নি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ফাটল বন্ধে কাজ করছে।
ফরিদপুর সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ১৬৬টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৮০০ পরিবারের বসতবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। ১০ হাজার ৬০০ পরিবার পানিবন্দী। বন্যাকবলিত তিনটি উপজেলার ১০২টি কাঁচা ও পাকা সড়ক তলিয়ে গেছে। ফরিদপুর সদরের পাঁচটি, চরভদ্রাসনে ১৬, সদরপুরে ২২টিসহ মোট ৪৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের বন্যাকবলিত তিনটি উপজেলায় ১৭১ হেক্টর ধান, ৫৮ হেক্টর সবজিসহ মোট ২২৯ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে।
আরও সংবাদ
বিষয়:
- Get link
- X
- Other Apps
Comments