চীনের প্রতি নমনীয় হচ্ছে আসিয়ান
চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য আসিয়ান (দ্য এসোশিয়েসন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনস) মন্ত্রীদের বৈঠকে দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের সামরিকীকরণ এবং কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি নিয়ে নমনীয় অবস্থান নেওয়ার পথে হাঁটছে সংস্থাটি। আসিয়ান এই সংক্রান্ত আচরণ বিধির জন্য এমন একটি কর্মকাঠামো তৈরি করছে, যা বাধ্যতামূলক কিংবা বলপ্রয়োগের উপযোগী, এর কোনোটাই নয়।
ওই কর্মকাঠামোর খসড়া পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আসিয়ানের যৌথ প্রজ্ঞাপনে চীনের বির্তকিত কর্মকাণ্ডের কোনো উল্লেখ নেই। এছাড়া ফাঁস হয়ে যাওয়া আসিয়ান-চীন সামুদ্রিক আচরণ বিধির খসড়াতে ইউএনসিএলওএস’কে (ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অন দ্য ল অব দ্য সি) আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়নি।
এর আগে আসিয়ান চীনের কর্মকাণ্ড নিয়ে ‘গুরুতর উদ্বেগ’ জানিয়েছিল এবং ‘অসামরিকীকরণ এবং ভূমি পুনরুদ্ধারসহ সব ধরণের কর্মকাণ্ডে আত্মনিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিল’। কিন্তু সাম্প্রতিক খসড়ায় এসব কথার বদলে ‘বিতর্কিত বিষয়ে একতরফা ব্যবস্থা’ এড়ানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে আসিয়ানের সভাপতি হিসেবে ফিলিপাইনের ভূমিকা চীনকে এ ধরনের সুবিধা দিতে সহায়তা করেছে। এক সময় চীনের সবচেয়ে সরব সমালোচক ফিলিপাইন এখন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের নেতৃত্বে চীনের প্রতি অনেকটাই নমনীয়। ধারণা করা হচ্ছে, ফিলিপাইনে ২৪০ কোটি ডলারের চীনা বিনিয়োগই চীনের প্রতি ফিলিপিনো নেতৃত্বের মনোভাব পরিবর্তনের কারণ। রয়টার্স।
ইত্তেফাক/সাব্বির
Comments