পরিপাটি রিকশাচালক!
- Get link
- X
- Other Apps
পোশাক-পরিচ্ছদে পরিপাটি। কেতাদুরস্ত বলতে যা বোঝায় তাই-ই। রং মিলিয়ে বানানো শার্ট-প্যান্ট-টাই। বানানো আছে বেশ কয়েক সেট। পর্যায়ক্রমে পরেন। রং করা চুল, হাতে ঘড়ি, মাথায় ক্যাপ, চোখে সানগ্লাস, পায়ে পলিশ করা জুতো। এগুলো পরে রোজ কাজে বের হন। সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকুরে নন, নন কোনো কোম্পানির প্রতিনিধিও। তিনি হচ্ছেন একজন রিকশাচালক।
লক্ষ্মীপুর শহরের অলিগলিতে যাত্রী নিয়ে ঘুরে বেড়ান ফারুক হোসেন। লক্ষ্মীপুর সদরের বাঞ্ছানগর এলাকার বাসিন্দা তিনি। বাবার নাম মো. শাহজাহান।
লেখাপড়া তেমন না জানলেও কথা খুব গুছিয়ে বলেন ফারুক। কখনো কোনো যাত্রীর সঙ্গে বাজে আচরণ করেন না। ভদ্রলোক বলে প্রশংসিত। বললেন, তাঁর এমন পরিপাটি চালচলন মুগ্ধ করে যাত্রীদের। বেশির ভাগ সময়ে খুশি হয়ে ভাড়া বেশি দেন তাঁরা।
আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন ফারুক। দৈনিক ৩০০ টাকা আয় হতো। একসময় কাজ নেন খাবারের হোটেলে। তবে কোনো কিছুই সংসারের কষ্ট ঘোচাতে পারেনি। দুই বছর আগে ভাবতে শুরু করেন নতুন কিছু করার। একদম আনকোরা কিছু। শুরু করেন শার্ট-প্যান্ট পরে সেজেগুজে রিকশা চালানো। এখন প্রতিদিন তাঁর আয় প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। সংসারের কষ্টও অনেক কমেছে।
গত শুক্রবার বাঞ্ছানগর এলাকায় ফারুকের ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখা যায় ফারুকের মতো পরিপাটি তাঁর ঘরটিও। দোতলা বাড়িটির নিচতলায় থাকেন তিনি।
বাড়ির মালিক কামাল হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে ফারুক ছয় হাজার টাকায় ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। আশপাশের উৎসুক ব্যক্তিরা তাঁকে দেখতে আসেন। সবার সঙ্গেই ভালো ব্যবহার করেন ফারুক। তাঁর আচার-আচরণের কারণে যাত্রীরা অন্য চালকের চেয়ে ভাড়া একটু বেশি দেন।
আরও সংবাদ
বিষয়:
- Get link
- X
- Other Apps
Comments