বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা ইইউতে থাকছে
ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বাংলাদেশ যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) পেয়ে আসছে তা আগামী দিনেও বহাল থাকছে। শ্রম ইস্যুতে এ সুবিধা বহাল থাকা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে বাংলাদেশে ইইউর বিদায়ী রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি বলতে পারি, ইবিএ ব্যবস্থা সুরক্ষিত (বাংলাদেশের জন্য)। ’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় বেসরকারি খাত আন্তর্জাতিক শ্রম সনদগুলোর সঙ্গে সংগতি রেখে ‘স্পষ্ট, বাস্তব ও সময়ভিত্তিক’ আগ্রহ দেখিয়েছে। ‘এভরিথিং বাট আর্মস, সংক্ষেপে ইবিএ’ (অস্ত্র ছাড়া সব কিছু) পদ্ধতিতে বাংলাদেশি পণ্য ইইউ’র ২৮টি দেশের বাজারে জিএসপি তথা শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পেয়ে আসছে।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বাংলাদেশকে শ্রমবিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদগুলোর সঙ্গে সংগতি রেখে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড) আইনের খসড়া প্রণয়ন, ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া এবং শ্রম আইন সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছিল। এরপর ইউরোপীয় ইউনিয়নও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ায় ইইউতে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বহাল থাকা নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল।
ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা পেতে আগ্রহী দেশকে অবশ্যই মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারবিষয়ক ২৭টি আন্তর্জাতিক সনদ এবং পরিবেশগত সুরক্ষা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। এ প্রসঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ সেগুলো থেকে খুব বেশি দূরে নয়। এই ২৭টি সনদের বেশির ভাগই ইতিমধ্যে বাংলাদেশ স্বাক্ষর ও অনুমোদন করেছে। ’ রাষ্ট্রদূত মনে করেন, সনদগুলোর সুষ্ঠু বাস্তবায়নের দিকেই এখন বাংলাদেশের নজর দেওয়া উচিত।
এক প্রশ্নের জবাবে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পর বাংলাদেশকে ইইউর কাছে ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধার জন্য আবেদন করতে হবে।
Comments