বাগমারায় নতুন এলাকা প্লাবিত, ত্রাণের অভাব
- Get link
- X
- Other Apps
আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার শিব নদের পানি বিপৎসীমার ১৬ দশমিক ৮৯ সেন্টিমিটার এবং ফকিন্নী নদীর পানি ১৪ দশমিক ৮৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন করে উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বাসুপাড়া, নরদাশ, শুভডাঙ্গা ও সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের কয়েকটি অভ্যন্তরীণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে ওই সব এলাকার ২২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার কারণে সোনাডাঙ্গা, নরদাশ ও গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলা ও জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এসব ইউনিয়নের সড়কগুলো পানিতে ডুবে গেছে।
যোগীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, গতকাল রোববার থেকে নতুন করে তাঁর ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এই সময়ে ২ হাজার ৬০৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধানসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে।
বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্গত মানুষের সংখ্যা বাড়লেও ত্রাণের পরিমাণ বাড়েনি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ২৫টি পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এ জন্য দুর্গত এলাকার লোকজনকে বেসরকারি ত্রাণের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
গোবিন্দপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান বিজন কুমার সরকার বলেন, সরকারি যে পরিমাণ চাল পাওয়া যাচ্ছে, তা কিছুই নয়। এগুলো দিয়ে চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। চালের পাশাপাশি অন্য ত্রাণসামগ্রী পাঠানো জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন। একই রকম অভিযোগ করেন, নরদাশ ইউপির চেয়ারম্যান মতিউর রহমান। তাঁদের ভাষ্য, বেশির ভাগ জায়গায় রান্না করার পরিস্থিতি নেই। সেখানে চাল বিতরণ করে লাভ হবে না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত ২ হাজার ২০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইউপির চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে। অন্য কোনো সামগ্রী বরাদ্দ পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সাংসদ এনামুল হক বলেন, বন্যাদুর্গত মানুষকে সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে দুর্গত ব্যক্তিদের সহযোগিতা করা হবে।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments