তামিম যেদিন ‘চূড়া’য় উঠেছিলেন

বুলাওয়ের সেই ইনিংসের পর তামিম হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মূল ভরসা। ফাইল ছবিপাঁচ ম্যাচের সিরিজটা নিজেদের করে নিতে হলে ২০০৯ সালের ১৬ আগস্ট বুলাওয়েতে বাংলাদেশকে ম্যাচটা জিততেই হতো। কিন্তু হিসাবটা কঠিন করে দিলেন চার্লস কভেন্ট্রি। টপঅর্ডার এই ব্যাটসম্যানের ১৫৬ বলে ১৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে সওয়ার করে বাংলাদেশকে ৩১৩ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিল জিম্বাবুয়ে।
৩০০-এর বেশি রান তাড়া করে জেতার অভিজ্ঞতা তখনো বাংলাদেশের হয়নি। ‘অভিজ্ঞতা হয়নি, হবে’—এ ভাবনাতেই কি সেদিন ব্যাটিং শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল? শুরুটা যদিও তিনি করেছিলেন ধীরলয়েই। প্রথম বাউন্ডারি পেতে লাগে ১৫ বল। প্রথম ১৪ বলে তাঁর রান ছিল ৬। ৬০ বলে ফিফটির পর ১০৫ বলে সেঞ্চুরি। ৯৯ থেকে ১০০ রানে যেতে সাত বল খেলতে হলেও সেঞ্চুরি পাওয়ার পরের ওভারেই মাসাকাদজার মাথার ওপর দিয়ে দুই ছক্কা মেরে তামিম জানিয়ে দেন কিসের জন্য অপেক্ষা করেছেন তিনি।
সেঞ্চুরির পর ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৫০ ছুঁতে তামিমের লাগে ৩০ বল। রেমন্ড প্রাইসকে ডাউন দ্য উইকেটে মারতে গিয়ে যখন আউট হলেন, নামের পাশে ১৫৪ রান (১৩৮ বলে), যেটি বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে আজও সর্বোচ্চ ইনিংস। ঝলমলে ইনিংসটা তিনি সাজান ৭ চার আর ৬ ছয়ে।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তামিমের সেটি ছিল দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। পরে করেছেন আরও সাতটি। কিন্তু আন্তর্জাতিক অভিষেকের দুই বছরে এমন এক রেকর্ড গড়েছেন, যেটি পরের আট বছরেও ভাঙতে পারেননি। ভাঙতে পারেননি বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান। এখনো ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ চূড়া হয়ে আছে বাংলাদেশের রেকর্ডের পাতায়।
তামিমের ঝকঝকে সেই ইনিংসের সৌজন্যে ম্লান হয়ে যায় কভেন্ট্রির ১৯৪ রান! ১৩ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশ টপকে যায় জিম্বাবুয়ের গড়া রানের পাহাড়। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বাংলাদেশ জিতে যায় সিরিজটাও। কভেন্ট্রির সান্ত্বনা এতটুকু, তামিমের সঙ্গেও তিনিও হন ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারের অংশীদার।
আট বছর আগের স্মৃতি আজ মনে করিয়ে দেওয়া হলো তামিমকে। যদিও স্মৃতিচারণায় কোনো আগ্রহ দেখা গেল না বাঁহাতি ওপেনারকে। তামিমের দৃষ্টি বরং সামনে। সামনে দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। বাংলাদেশ ওপেনারের ভাবনাজুড়ে যে টেস্ট থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ইনিংস
রান
ব্যাটসম্যান
প্রতিপক্ষ
সাল
১৫৪
তামিম ইকবাল
জিম্বাবুয়ে
২০০৯
১৩৪*
সাকিব আল হাসান
কানাডা
২০০৭
১৩২
তামিম ইকবাল
পাকিস্তান
২০১৫
১২৯
তামিম ইকবাল
আয়ারল্যান্ড
২০০৮
১২৮*
মাহমুদউল্লাহ
নিউজিল্যান্ড
২০১৫
আরও সংবাদ

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা