‘সরকারকে ভুক্তভোগী নারী শিশুর দায়িত্ব নিতে হবে’

‘সরকারকে ভুক্তভোগী নারী শিশুর দায়িত্ব নিতে হবে’
ইরাকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের যৌন সহিংসতার শিকার মেয়ে শিশু ও নারীদের উপযুক্ত যত্ন, সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা অবশ্যই ইরাক সরকারের দায়িত্ব বলে মনে করে জাতিসংঘ। ওই সব যৌন সহিংসতার জেরে জন্ম নেওয়া শিশুদের সুস্থ-সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতেও ইরাক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্স মিশন টু ইরাক (ইউএনএএমআই) ও মানবাধিকার কমিশন গতকাল মঙ্গলবার নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে তারা ইরাকে আইএসের যৌনদাসত্বের শিকার মেয়ে শিশু ও নারীদের অসহায় অবস্থা তুলে ধরে এবং তাদের জীবন পুনর্গঠনে সরকারের দায়িত্বের প্রসঙ্গ তুলে আনে।
প্রতিবেদনে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের নারীদের ওপর সহিংসতার চিত্র আলাদা করে তুলে ধরা হয়। ২০১৪ সালে আইএস সিনজার এলাকার ইয়াজিদিদের ওপর গণহত্যা চালায় এবং ওই সম্প্রদায়ের মেয়ে শিশু ও নারীদের যৌনদাসত্বে বাধ্য করে। ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশজুড়ে ঘোষিত তথাকথিত খেলাফতকালে প্রায় তিন হাজার নারীকে তারা জিম্মি করে রেখেছিল বলে ধারণা করা হয়। এ নারীদের তারা খেলাফতজুড়ে বেচাকেনা করেছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার হাইকমিশনার জেইদ রা’আদ আল হুসেইন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আইএস শরীর, মন ও আবেগে যে ক্ষত তৈরি করে দিয়েছে, তা উপলব্ধির অতীত। ক্ষতিগ্রস্তরা যদি নিজেদের জীবন এবং প্রকৃতপক্ষে তাদের সন্তানদের জীবন পুনর্গঠন করতে চায়, তবে তাদের ন্যায়বিচার দরকার এবং প্রতিকার দরকার। ’ জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় আইন অনুযায়ী নির্যাতিত নারীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া এবং অপরাধীদের সাজা নিশ্চিত করা বাগদাদ সরকারের দায়িত্ব।
ইরাকের বিচারব্যবস্থায় গলদ রয়েছে মন্তব্য করে জাতিসংঘ এর নিন্দা জানায় এবং বলে, ‘যৌন ও অন্যান্য সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুদের যথাযথ সম্মান ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এ বিচারব্যবস্থা বিশাল মাত্রায় ব্যর্থ হয়েছে। ’ ইরাকের ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বিচার ব্যবস্থার উল্লেখ করে জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়েছে, যেসব নারী স্বেচ্ছায় আইএস জঙ্গিদের বিয়ে করেছে এবং যারা ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছে, এ উভয়ই হয়তো একই বৈষম্যের শিকার হবে। এ ছাড়া আইএসের যৌন সহিংসতার কারণে জন্ম নেওয়া শিশুদের বৈষম্যের শিকার হওয়ার আশঙ্কাও করছে জাতিসংঘ। জেইদ হুসেইনের আহ্বান, বিয়েবহির্ভূত যৌনতায় জন্ম নেওয়ার কারণে কিংবা আইএস জঙ্গির সন্তান হওয়ার জেরে কোনো শিশুকে যেন বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার হতে না হয় এবং তাদের যেন অধিকারবঞ্চিত করা না হয়। সূত্র : এএফপি।

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা