কুড়িগ্রামে বন্যা অপরিবর্তিত

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি ধীরগতিতে কমছে। চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ও সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জেলার নয় উপজেলার ৬০ ইউনিয়নের ৮২০টি গ্রামের চার লাখের বেশি মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। পাঁচ দিন ধরে বানভাসি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে গবাদিপশুসহ পাকা সড়ক, উঁচু বাঁধ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দেওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে বানভাসি মানুষের।
গত চার দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ১১ জন ও সাপের দংশনে একজনসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী। এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন।
জেলা মৎস্যসম্পদ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, বন্যার পানিতে ভেসে গেছে জেলার আট হাজার পুকুরের প্রায় ১২ কোটি টাকার মাছ।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, বন্যাদুর্গত ব্যক্তিদের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

আরও সংবাদ

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা