- Get link
- X
- Other Apps
দুই বোনকে গলা কেটে হত্যা: অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা
জামালপুরে দুই বোনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার সকালে জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের দেউলিয়াবাড়ি গ্রামের নিজ বাড়িতে দুই বোন ভাবনা খাতুন (১৩) ও নুরুন্নাহার লুবনার (১০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
খবর পেয়ে তাদের বাবা মো. শামীম হোসেন সৌদি আরব থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের বাড়িতে আসেন। পরে বেলা তিনটার দিকে শামীম হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। সন্দেহভাজন হিসেবে শামীমের চাচা ওয়ারেছ আলী ও চাচাতো ভাই মো. বিলাস মিয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শামীম হোসেনকে আজ দুপুরে সদর থানায় নিয়ে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু তিনি কাউকে সন্দেহ করতে না পারায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শামীম হোসেনকে আজ দুপুরে সদর থানায় নিয়ে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু তিনি কাউকে সন্দেহ করতে না পারায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়।
দ্রুত হত্যাকাণ্ডের রহস্য খুঁজতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নূরে আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া শামীম হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। দুই বোনের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শামীম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আমাকে জানানো হয়নি। বাড়িতে জরুরি প্রয়োজনে আসার জন্য খবর দেয়। আজ সকালে বাড়ি যাওয়ার পথে গ্রামের লোকজনের কাছে আমার নিষ্পাপ দুই মেয়ের হত্যার কথা শুনতে পাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকি। গ্রামের তেমন কোনো খবর জানি না। চাচা ও চাচাতো ভাইদের সঙ্গে ২০ শতাংশ জমি নিয়ে একটু সমস্যা রয়েছে। ওই জমির কাগজপত্র ঠিক করার জন্য স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে জামালপুর ভূমি কার্যালয়ে যেতে বলেছিলাম। তবে কাজ শেষ করে বাড়িতে যেতেও বলেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টি থাকার কারণে নাকি সে (স্ত্রী) বাড়িতে যেতে পারেনি।’
বেলা তিনটার দিকে জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওনক জাহান তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক দল গুরুত্বের সঙ্গে রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামিদের ধরতে মাঠে কাজ করছে। আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে অসংগতি পাওয়ায় তাঁদের সন্দেহভাজন হিসেবে রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তাঁদের মাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে কোনো অসংগতি পাওয়া যায়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।’
আরও সংবাদ
বিষয়:
- Get link
- X
- Other Apps
Comments