রাজবাড়ীর চার উপজেলায় নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে রাজবাড়ীর চার উপজেলায় নদী তীরবর্তী ও বাঁধের ভেতরে বসবাসরত নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২৭ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জেলায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ২৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
পানিবন্দীর কারণে ইতোমধ্যে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রায় এক হাজার ৯৪৪ হেক্টর ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে। পদ্মার পানিতে বানভাসি মানুষরা চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। সৃষ্ট বন্যা বা পানিবন্দী জেলার তিনটি পৌরসভা ও পাঁচটি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ১৪৩টি গ্রামের ২৯ হাজার ৮২৮টি পরিবারের প্রায় এক লাখ ১২ হাজার ৩৫০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ এবং বন্যার্তদের মধ্যে আর্থিক অনুদান ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ১০২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে গত ১২ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী মানুষ সবচেয়ে বেশি বন্যায় কবলিত হয়েছে। বন্যায় বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি, মাছের ঘের প্লাবিত হয়ে কর্মহীন হয়ে মানবেতর দিন কয়েক হাজার কৃষক পরিবার। সরকার থেকে যে ত্রাণ ও নগদ অর্থ দেয়া হচ্ছে তা দিয়ে তিনদিনও সংসার চলবে না সংসারের ছেলে- মেয়ে সহ অন্যান্যদের নিয়ে। এছাড়া পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধ এবং গৃহপালিত পশু নিয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবু সাঈদ জানান, উপজেলার দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম, উজানচর ও ছোটভাকলা ইউনিয়নের ১৬ হাজার ৯শ'টি পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। এদের জন্য ৭৫ মেট্রিক টন চাল ও এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সরকারের জিআর (জেনারেল রিলিফ) প্রকল্পের আওতায় দুইশ' পরিবারকে পাঁচশ' নগদ টাকা এবং দুইশ' পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল ত্রাণ হিসেবে দেয়া হয়েছে।
ইত্তেফাক/জামান
Comments