রুশ জনগণকে কোণঠাসা করে রাখার শক্তি নেই: পুতিন

জামিল খান, মস্কো থেকে

ভ্লাদিমির পুতিনভ্লাদিমির পুতিনরুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, বিশ্বে এমন কোনো শক্তি নেই, যারা রাশিয়াকে কোণঠাসা করে রাখতে পারে, রুশ জনগণের অধিকার হরণের চেষ্টা চালাবে। জার্মান বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত জনগণের মহান পিতৃভূমি রক্ষা যুদ্ধ বিজয়ের ৭২ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার মস্কোয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, আমাদের জনগণকে দাবিয়ে রাখতে পারে এমন কোনো শক্তি নেই, ছিল না এবং ভবিষ্যতেও তৈরি হবে না। অতীত থেকে পাওয়া শিক্ষা আমাদের সজাগ করে তুলেছে এবং রাশিয়ার সামরিক শক্তি আজ যেকোনো আগ্রাসনের সমুচিত জবাব দিতে তৈরি আছে।
পিতৃভূমি রক্ষা যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে পুতিন বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নে নাৎসি জার্মান বাহিনী ভয়াবহ হামলা চালায়, আমাদের জনগণ মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে মাতৃভূমি রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমরা শত্রু বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করি।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদসহ যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, সমান অংশীদারত্বের পথে যারা থাকবে, আমরা তাঁদের সঙ্গে আছি। রাশিয়া সর্বদা শান্তির পক্ষে থাকবে এবং এ ধরনের সম্পর্ক তৈরিতে আমরা উন্মুক্ত রয়েছি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সংক্ষিপ্ত ভাষণ শেষে রেড স্কয়ারে প্রায় ১০ হাজার সেনার অংশগ্রহণে সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। ক্রেমলিনের প্রচীরঘেষা অস্থায়ী আসনে রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বীর যোদ্ধা ও বিদেশি অতিথিদের দেখা যায়।
কুচকাওয়াজে টি-৯০ ট্যাংক, জেনিত রকেট ত্রিউম্ফ সি-৪০০, ইস্কান্দার মিসাইল, এপিসি বিটিআর-৮২ সহ আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে জঙ্গি বিমান ও হেলিকপ্টার উড্ডয়ন বাতিল করা হয়।
যুদ্ধে অংশ নেওয়া স্বজনের ছবি নিয়ে মস্কোতে প্রায় সাত লাখ ৫০ হাজার মানুষ ‘অমর রেজিমেন্ট’ শিরোনামের শোভাযাত্রায় অংশ নেন। ভ্লাদিমির পুতিনকে তাঁর বাবা ভ্লাদিমির স্প্রিদোনোভিচের ছবি নিয়ে শোভাযাত্রায় যোগ দিতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত চলা ফ্যাসিবাদ বিরোধী যুদ্ধ রাশিয়ায় পিতৃভূমি রক্ষা যুদ্ধ নামে পরিচিত। হিটলারের কোয়ালিশন বাহিনীর বিরুদ্ধে মহান পিতৃভূমি রক্ষা যুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। নয় লাখ সেনা নিয়ে গড়া সোভিয়েত বাহিনীর মুখোমুখি হয়েছিল ৯০ হাজারের জার্মান বাহিনী। এই ভয়াবহ যুদ্ধে আনুমানিক ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ মারা যায় এবং যাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ছিল সোভিয়েত নাগরিক।



৩৩ বছর পর

৩৩ বছর পর


অঁ মার্শ দলের এমপি হতে চান সাবেক প্রধানমন্ত্রী

অঁ মার্শ দলের এমপি হতে চান সাবেক প্রধানমন্ত্রী


ফিরে এল পুরো সৈকত!

ফিরে এল পুরো সৈকত!


নতুন প্রেসিডেন্টের সামনে কঠিন পথ

নতুন প্রেসিডেন্টের সামনে কঠিন পথ

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা