- Get link
- X
- Other Apps
অর্থ পাচারের অভিযোগে চার বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
বিএসএফের ত্রিপুরা সদর দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের সবার বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়। তাঁরা হলেন আবুল হাসেমের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (১৯), বিধু ভূষণ সাহার ছেলে পরিমল সাহা (৩৭), আবিদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৩৭), এলাহী বক্সের ছেলে সজীবুর রহমান।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই চার ব্যক্তি জানান, গত সোমবার সকালে তাঁরা শ্রীমন্তপুর স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। একই দিন তাঁরা আগরতলা বিমানবন্দর দিয়ে এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারলাইনসের বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইটে কলকাতা যান। সেখান থেকে ডলারের চালান নিয়ে ওই দিন বিকেলে একই এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে তাঁরা আগরতলা ফেরেন। পরের দিন মঙ্গলবার তাঁরা শ্রীমন্তপুর স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শ্রীমন্তপুর চেকপোস্টের শুল্ক দপ্তর ও ইমিগ্রেশনের চোখ এড়াতে তাঁরা সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে সেখানে ওত পেতে থাকা বিএসএফের হাত থেকে তাঁরা রক্ষা পাননি। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার মুহূর্তে তাঁদের আটক করে বিএসএফ। এরপর প্রত্যেকের কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে গোপন জায়গায় রাখা মার্কিন ডলার উদ্ধার করা হয়। পরে ওই ডলারসহ চার বাংলাদেশিকে আগরতলা শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিএসএফের ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ কর্মকর্তা ডেপুটি কমান্ড্যান্ট লক্ষ মেহেতা আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বিজিবি থেকে কোনো তথ্য তাঁরা পাননি। চেকপোস্টে ধরা পড়ায় বিজিবি বিষয়টি জানে। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে ঢাকায় ধর্ষণ মামলার কোনো যোগসূত্র এখনো পাওয়া যায়নি।
ত্রিপুরা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের এসপি শঙ্কর দেবনাথ বলেন, ওই চারজনই অর্থ পাচারের সঙ্গে যুক্ত। প্রাথমিক তদন্তে এটুকুই উঠে এসেছে। তাঁরা এখন কাস্টমসের হেফাজতে রয়েছেন।
ত্রিপুরা পুলিশের ডিআইজি (দক্ষিণ রেঞ্জ) অরিন্দম নাথ আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে এঁরা পালিয়ে ভারতে এসেছেন—এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছে নেই। তিনি নিজে পাসপোর্ট-ভিসা যাচাই করেছেন বলেও জানান।
আরও সংবাদ
বিষয়:
- Get link
- X
- Other Apps
Comments