ঢেউয়ের তালে মন ভেজালেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
সমুদ্রের বিশালতা মানুষকে মুগ্ধ করে, কাছে টানে। সমুদ্রদর্শনের পর আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো উচ্ছ্বাসিত-আনন্দিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। ছবি: ফোকাস বাংলাসমুদ্রের বিশালতা মানুষকে মুগ্ধ করে, কাছে টানে। সমুদ্রদর্শনের পর আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো উচ্ছ্বাসিত-আনন্দিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। ছবি: ফোকাস বাংলাকক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পাথুরে সৈকতখ্যাত ইনানী সমুদ্র উপকূলে আজ শনিবার দুপুরে প্রায় ৮০ কিলোমিটার লম্বা ‘কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ’ সড়কের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘বেওয়াচ রিসোর্ট’-সংলগ্ন এলাকায় আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণও দেন।
সমুদ্রের জলে পা ভেজালেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলাসমুদ্রের জলে পা ভেজালেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলাভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী নেমে পড়েন সমুদ্রসৈকতে। সমুদ্রতীরে যাবেন আর জলে পা ভেজাবেন না, তা কি হয়? হয় না বলেই প্রধানমন্ত্রী নেমে পড়েন ঝিনুকফোটা সাগরবেলায়। তিনি অনেকটা সময় খালি পায়ে হাঁটেন। মন ভেজান সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে। প্রায় ১৫ মিনিট তিনি সমুদ্রজলে পা ভিজিয়ে খুঁজে বেড়ান নিজের শৈশবকাল।
কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্রসৈকতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলাকক্সবাজারের ইনানী সমুদ্রসৈকতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলাউদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই সমুদ্র দেখার স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জীবনে প্রথম এই সমুদ্রসৈকত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল বাবা-মায়ের সঙ্গে। বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমুদ্র অনেক প্রিয় ছিল। সমুদ্র আমাদেরও টানতো।’ তিনি বলেন, ১৯৬২ ও ১৯৬৪ সালে বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি এখানে এসেছেন বলে জানান। এই সৈকতের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অনেক স্মৃতি, তাই এটাকে আরও আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে।
সমুদ্রের সৌন্দর্যে মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলাসমুদ্রের সৌন্দর্যে মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলাসকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং উড়োজাহাজ মেঘদূতে চড়ে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার বিমানবন্দরে নামেন। এরপর সেখানে তিনি বোয়িং বিমানের বাণিজ্যিকভাবে চলাচলের উদ্বোধন করেন। বেলা ১১টার দিকে তিনি সেখান থেকে সড়কপথে যান ৩৫ কিলোমিটার দূরের ইনানী সৈকতে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে প্রধানমন্ত্রী মেরিন ড্রাইভ সড়কের অন্তত ৪৫ কিলোমিটার ঘুরে দেখেন।
এই ঝিনুক ফোটা সাগরবেলায়...। ছবি: ফোকাস বাংলাএই ঝিনুক ফোটা সাগরবেলায়...। ছবি: ফোকাস বাংলাউদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর চৌকস দলের সালাম গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তরুণীরা নৃত্যের মাধ্যমে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রীকে। এরপর তিনি সেখানে ফলক উন্মোচন করে মেরিন ড্রাইভ সড়কের উদ্বোধন করেন।
সাগরের ঢেউয়ের জলে পা ভেজালেন, মন ভেজালেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলাসাগরের ঢেউয়ের জলে পা ভেজালেন, মন ভেজালেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলাউদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মেরিন ড্রাইভ সড়কের রেজুখালী সেতু নির্মাণ এবং সৈকতের কলাতলী থেকে দুই কিলোমিটার ওয়ার্ক ওয়ে নির্মাণের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এই সড়ক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কেবল পর্যটনের বিকাশ নয়, সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের জীবন মানের অর্থ-সামাজিক পরিবর্তনও ঘটবে। সড়কটি নির্মাণের জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তাল সমুদ্র আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেই সড়ক নির্মাণ করতে হয়েছে। এই সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে পাহাড় ধসে ছয়জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি নিহত সেনা সদস্যের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ‘কক্সবাজার-চট্টগ্রাম’ মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার ঘোষণা দেন।
সফরসঙ্গী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমুদ্রদর্শন। ছবি: ফোকাস বাংলাসফরসঙ্গী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমুদ্রদর্শন। ছবি: ফোকাস বাংলাপ্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখন বোয়িং চলাচলের উপযোগী হয়েছে। এখানে প্রতি সপ্তাহে ঢাকা থেকে সরকারি ফ্লাইট আসবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। এ ছাড়া বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের ১২০ কিলোমিটার বালুকাময় সৈকত ও এর সৌন্দর্য আরও আকর্ষণীয় করতে নানামুখী উন্নয়নের আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও সংবাদ

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা