Posts

মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি জঙ্গিরাই হামলা চালিয়েছিল: নওয়াজ শরিফ

Image
ভারতের মুম্বাইয়ে ২০০৮ সালের ভয়াবহ হামলা পাকিস্তানি জঙ্গিরাই চালিয়েছিল বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ভোটের আগে এমন মন্তব্য করে একইসঙ্গে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে তিনি বার্তা দিতে চেয়েছেন বলে ধারণা করছেন কূটনীতিকেরা। পাকিস্তানের এক সংবাদপত্রকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শরিফ বলেছেন, ‘পাকিস্তানে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন সক্রিয়। আমরা তাদের সীমান্ত পেরিয়ে মুম্বাইয়ে হত্যাকাণ্ড চালাতে দিয়েছি। পাকিস্তানে মুম্বাই হামলার মামলাও শেষ হয়নি। এমন নীতির ফলেই পাকিস্তান আজ বিশ্বে কোণঠাসা।’  তিনি আরো বলেন, ‘পাকিস্তান অনেক আত্মত্যাগ করেছে। কিন্তু এই নীতির জন্যই দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানের বক্তব্য শুনতে রাজি নয় বিশ্ব। সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস চালাতে দেয়ার নীতি কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও সে কথাই বলেছেন।’ সম্প্রতি দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শরিফ। এরই জেরে আগামী নির্বাচনে তার ভাই শাহবাজকে প্রার্থী করবেন তিনি। তবে দে...

রামায়ণেও প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল, দাবি পাঞ্জাব রাজ্যপালের

Image
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের পর এবার প্রযুক্তি নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন পাঞ্জাবের রাজ্যপাল ভি পি সিং বদনোর। গত মাসে বিপ্লব দাবি করেন, 'মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট-স্যাটেলাইটের ব্যবহার ছিল।' এবার পাঞ্জাবের রাজ্যপাল বলেছেন, মহাকাব্য রামায়ণে লঙ্কায় পৌঁছানোর জন্য ‘রাম সেতু’ বানিয়েছিলেন। এর থেকেই প্রমাণিত হয় যে, প্রাচীন কালেও প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল। শুক্রবার জাতীয় প্রযুক্তি দিবস উপলক্ষে মোহালির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসিউটিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এ একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার প্রাচীন যুগেও ছিল কারণ যখন রাম লঙ্কায় পৌঁছনোর জন্য সমুদ্রের উপর সেতু বানিয়েছিলেন। তা ছাড়া, হনুমানজি লক্ষ্মণের জন্য ‘সঞ্জীবনী’ নিয়ে এসেছিলেন। ওই সময় প্রচুর উন্নত অস্ত্রশস্ত্রও ব্যবহার হত। পাঞ্জাবের রাজ্যপাল আরও বলেন, আমাদের মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারতই প্রমাণ করে যে, প্রাচীনকাল থেকে এ দেশে প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল। তাই আজকের দিনে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারতকে অন্যতম অগ্রসর দেশ হিসেবেই গণ্য কর...

মে মাসেই পরমাণুকেন্দ্র ধ্বংস করা হবে: উত্তর কোরিয়া

Image
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র ধ্বংসের ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম। কোরিয়া সেন্ট্রাল নিউজ এজন্সি (কেসিএনএ) শনিবার এক খবরে বলেছে, পাংগাই-রি পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্র আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে মে মাসের ২৩ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে ধ্বংস করা হবে। এই পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে ওই কেন্দ্রের সব গবেষণা ভবন, পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ও নিরাপত্তা চৌকি ধ্বংস করে দেওয়া। কেসিএনএ তাদের প্রতিবেদনে বলে, ‘পরমাণু পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে এটি নিশ্চিত করতে দ্য ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়ার উত্তরের পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্রের পরমাণু অস্ত্র ইনস্টিটিউট ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ইনস্টিটিউটের কারিগরি পদক্ষেপ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’ সংবাদ সংস্থাটি জানায়, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের এই পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হবে। সূত্র: বিবিসি বিডি প্রতিদিন/ ১৩ মে ২০১৮/ ওয়াসিফ

মার্কিন কূটনীতিককে দেশ ছাড়তে নিষেধাজ্ঞা পাকিস্তানের

Image
নানা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে নতুন করে বিতর্ক মাথাচাড়া দিল পাকিস্তানে। গত এপ্রিল মাসে ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙে একটি বাইককে ধাক্কা মারে মার্কিন ডিফেন্স অ্যাটাশে কর্নেল জোসেফ এমানুয়েল হল'র গাড়ি। এতে বাইকের দু'জন যাত্রীর মধ্যে একজন তাৎক্ষণিকভাবে মারা যান। অন্যজন এখনও হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার পরই মৃতের বাবা আদালতের দ্বারস্থ হন, যাতে কূটনীতিক দেশ না ছাড়তে পারেন। পাকিস্তানের ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (FIA) কর্নেল হল'কে দেশ ছাড়ার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দেননি। এমনকি তার নাম ব্ল্যাক লিস্টে রাখা হয়েছে। তাকে আমেরিকায় ফেরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বিমানও পাঠানো হয়। কিন্তু সেটি খালিই ফিরে যায়। এই মর্মে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একটি রায় দেওয়া হয়েছে যাতে কর্নেল হল কূটনীতিক রক্ষাকবচ কোনওভাবেই ব্যবহার না করতে পারেন। শুধু তাই নয়, আমেরিকায় যেমন পাকিস্তানি কূটনীতিকদের অবাধ চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তেমন নিষেধাজ্ঞা পাকিস্তানে থাকা মার্কিন কূটনীতিকদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।  আমেরিকার ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, টেক্সাস এবং শিকাগো দূতাবাসে পাকিস্তানি ডিপ্লোম্যাটদের শহরের মধ...

নেপালে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন মোদী ও ওলি

Image
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ও সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে ৯শ’ মেগাওয়াট ‘অরুণ ৩’ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শাংখুওয়াসভা জেলায় এটি নির্মিত হচ্ছে। দু’দেশের যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানি এসজেভিএন লিমিটেড নেপালে অন্যতম বৃহৎ প্রকল্পটি তৈরি করবে। খবর সিনহুয়া’র। শুক্রবার সন্ধ্যায় কাঠমান্ডু থেকেই দুই প্রধানমন্ত্রী সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। মোদী বর্তমানে নেপাল সফরে রয়েছেন। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মোদী বলেন, এই প্রকল্পটি নেপালের জনগণের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ব্যাপক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সুযোগ সৃষ্টি করবে। ২০২৩ সাল নাগাদ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিনহুয়া। ইত্তেফাক/সেতু

বাবা-মাকে অবহেলা করলেই ৬ মাসের জেল

Image
প্রতীকী ছবি বৃদ্ধ বাবা-মাকে অবহেলার শাস্তি এবার কড়া করতে চলেছে ভারত সরকার। বাবা-মার দেখাশোনা না করলে এবার ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। বর্তমান আইনে সংশোধনী আনার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র।  ভারতের সামাজিক ন্যায় বিচার মন্ত্রণালয় ২০০৭-এ পাশ হওয়া মেইনটেনেন্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অফ পেরেন্টস অ্যান্ড সিনিয়র সিটিজেনস আইনটিতে সংশোধনী আনতে চলেছে। বর্তমান আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। সেটাই বাড়িয়ে সাজার মেয়াদ দ্বিগুণ করতে চলেছে কেন্দ্র।  একই আইনে এবার সন্তানের সংজ্ঞাও বাড়াতে চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এতদিন পর্যন্ত বৃদ্ধ বাবা-মার দেখাশোনার জন্য আইনত দায়বদ্ধ থাকত তার নিজের ছেলে-মেয়ে এবং নাতি-নাতনি। এবার দত্তক নেওয়া এবং সৎ ছেলে-মেয়েদেরও এই আওতায় আনা হবে। বৃদ্ধ বাবা-মার দেখাশোনার জন্য আইনত দায়বদ্ধ থাকবেন জামাই এবং পুত্রবধূরাও।  বর্তমান আইনে বৃদ্ধ বাবা-মার ভরণ-পোষণের জন্য মাসে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। যথেষ্ট ভালো রোজগার করেন এমন সন্তানেরা আরও বেশি টাকা দিতে পারেন বলে প্রস্তাবিত সংশোধনী খসড়ায় বলা হয়েছে। সন্তান ঠিকমতো দেখাশোনা না করলে মেই...

মিয়ানমারের সান রাজ্যে সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষ, নিহত ১৯

Image
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের সান রাজ্যে শনিবার দেশটির সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সূত্র। এ ব্যাপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ের সংঘাতগুলোর মধ্যে শনিবারের সংঘর্ষ সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। জানা যায়, শনিবার সংঘর্ষ হয়েছে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গ্রুপ টাং ন্যাশনাল আর্মি (টিএনএ)-র মধ্যে। এই গ্রুপটি দেশটির উত্তরাঞ্চলে আরও স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে অধিকার রক্ষাকারী সংস্থাগুলো বলছে, মিয়ানমারে উত্তরাঞ্চলের সান রাজ্যটি চীন সীমান্তসংলগ্ন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এই অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বেড়ে গেছে। আর ঠিক এই সময়ে আন্তর্জাতিক মহল দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের রোহিঙ্গা ইস্যুতে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছে। এই সুযোগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সেখানে অভিযান জোরদার করেছে বলে অভিযোগ।  সূত্র: এএফপি বিডি প্রতিদিন/ ১২ মে ২০১৮/ ওয়াসিফ