Posts

তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় দখল করল বিজেপি।

Image
উদ্বোধনের আগেই তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় দখল করল বিজেপি। নেপথ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানার কুন্দখালি গোদাবর গ্রাম পঞ্চায়েতের ট্যাংরাবিচি গ্রামে। মুকুল রায়ের পথ অনুসরণ করে এই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সহ সভাপতি তাপস হালদারের নেতৃত্বে ১৫০ জনের বেশি তৃণমূল কর্মী সোমবার যোগ দেন বিজেপিতে। পাশাপাশি স্থানীয় নব নির্মিত তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়টি বিজেপির কার্যালয় হিসেবেও ঘোষণা করা হয়। কাদা দিয়ে মুছে দেওয়া হয় দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলের নাম ও প্রতীক চিহ্ন। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্যই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে তাঁদের যোগদান বলে দাবি করেন সদ্য বিজেপিতে আসা তাপস হালদার ও তাঁর অনুগামীরা। গত রবিবার এই কুন্দখালি গোদাবর অঞ্চলের ট্যাংরাবিচি গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের নবনির্মিত দলীয় কার্যালয়টি উদ্বোধনের কথা ছিল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা, জয়নগর লোকসভার সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, কুলতলি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল মাঝি-সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের। দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনের পর সেখানে একটি সভা করারও কথ...

তুরস্কের বুকে এক টুকরো ইরান!

Image
তুরস্কে বেড়াতে গিয়ে আনন্দে মেতে ওঠা ইরানি পর্যটকের দল। ছবিটি ইকোনমিস্টের সৌজন্যে। ষাটোর্ধ্ব দুই নারী। মাথায় সাদা চুল। পাশের কিশোরীর সঙ্গে নাচতে নাচতে আলগা হয়ে গেছে তাঁদের মাথার স্কার্ফ। কিন্তু সেদিকে কোনো খেয়াল নেই তাঁদের। যেন মুক্তির আনন্দে নাচছেন তাঁরা! ঘটনাস্থল তুরস্ক, আর এই দুই নারী ইরানি পর্যটক। শুধু এই দুই নারী নন, তাঁদের সঙ্গে আরও অনেক ইরানি পর্যটক তুরস্কের ভেন শহরের নাইট ক্লাবে এমন আনন্দে মাতেন। কেউ একা, কেউবা সপরিবারে নাচে-গানে অংশ নেন। আবার কেউ কেউ খাবার টেবিলে নানা পদের খাবার আর বিয়ার নিয়ে শুধুই দর্শকের ভূমিকায়। ডিজে থেকে শুরু করে পানশালার ছেলেটিও ইরানি। হঠাৎ দেখলে মনে হবে, তুরস্কের বুকে এক টুকরো ইরান! তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভেন। তুরস্ক-ইরান সীমান্তের বেশ কাছেই এর অবস্থান। কুর্দি–অধ্যুষিত ভেনের রয়েছে সুদীর্ঘ নগর ঐতিহ্যের ইতিহাস। সঙ্গে মনকাড়া লেক আর প্রাকৃতিক দৃশ্য। ভেনের সৌন্দর্য নিয়ে খুব প্রচলিত প্রবাদ হলো ‘পৃথিবীর জন্য ভেন আর পরের জীবনের জন্য স্বর্গ’। পৃথিবীর বুকের এই স্বর্গ দেখতে ভিড় করেন প্রতিবেশী ইরানিরা। সঙ্গে কদিনের জন্য বিধি-নিষেধহীন মুক্ত জীবনের স্বা...

জর্ডানে ব্রিটিশ দূতাবাসে চাকরি পেল বিড়াল!

Image
লরেন্স অব আবদুন’। ছবি: রয়টার্স। জর্ডানে ব্রিটিশ দূতাবাসে চাকরি পেয়েছে একটি বিড়াল। ভুল শুনছেন? মোটেই নয়। সত্যিই জর্ডানে ব্রিটিশ দূতাবাসে ‘চিফ মাউসার’ বা ‘প্রধান ইঁদুর শিকারি’ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছে একটি বিড়াল। আগে উদ্ধারকারী বিড়াল হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ‘লরেন্স অব আবদুন’, মোটাসোটা কালো–সাদা রঙের বিড়ালটিকে নিয়োগ দেওয়ার পর তার টুইটার অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছে। এর মধ্যে তার অনুসারীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে আড়াই হাজার। লরেন্স নামটি রাখা হয়েছে টমাস অ্যাডওয়ার্ড লরেন্সের নাম অনুসারে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে টমাস অ্যাডওয়ার্ড লরেন্স আরবের হয়ে অটোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। তাঁকে ‘লরেন্স অব অ্যারাবিয়া’ও বলা হতো। জর্ডানে ব্রিটিশ দূতাবাস অবস্থিত আম্মানের পার্শ্ববর্তী শহর আবদুনে। সেখান থেকেই ‘আবদুন’ শব্দটি এসেছে। গত মাসে পশু–প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিয়ে আসা হয় ‘লরেন্স অব আবদুন’কে। জর্ডানে ব্রিটিশ দূতাবাসের কূটনীতিক লরা ডাউবান টুইটে বলেন, ‘মাউসিং ডিউটি ছাড়াও টুইটারে অনুসরণকারীদের কাছে পৌঁছে গেছে ও। খুবই মজার যে ব্রিটিশ নাগরিকেরা জর্ডানে দেশের দূতাবাসকে এখন একটি অন্য দৃষ্টিতে দেখবে...

৬৫০০ কোটি টাকা তাঁরা ফেরত দেননি

Image
শওকত চৌধুরী, রফিকুল আমিন (ওপরে বাঁয়ে), মো. হোসেন, জেসমিন ইসলাম। বহুল আলোচিত হল-মার্ক, ডেসটিনি, বেসিক ও কমার্স ব্যাংক কেলেঙ্কারির চারটি মামলায় পাঁচ প্রভাবশালী অভিযুক্ত ৬ হাজার ৫০৮ কোটির বেশি টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত কেউ একটি টাকাও জমা দেননি। এর মধ্যে বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকা ব্যবসায়ী আহমেদ তাজউদ্দিনকে হাইকোর্ট প্রতি দুই মাস অন্তর দুই কোটি টাকা প্রদানের শর্তে আগাম জামিন দিয়েছিলেন। পরে তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পাওয়ার সময় আদালতকে এর আগে ঋণের কিস্তি হিসেবে সাড়ে তিন কোটি টাকা জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন। দুদক মনে করে, এতেও টাকা দিয়ে জামিনের শর্ত পূরণ করা বোঝাবে না। আবার জাতীয় পার্টির (জাপা) সাংসদ ও অর্থ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শওকত চৌধুরী টাকা না দিলেও জামিনে মুক্ত। বাকি তিনজনের মধ্যে হল-মার্কের জেসমিন ইসলাম প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা করে ৩ হাজার ৫৪৭ কোটি এবং ডেসটিনির রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন ৩৫ লাখ গাছ বিক্রি করে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা প্রদানে আদেশপ্রাপ্ত ছিলেন। তাঁরা অবশ্য কারাগারে আছেন। কিন্তু তাঁরা কেউ ...

শীতের সকালে নরম রোদে বাঁশের খুঁটিতে বসে

Image
গ্রামে শীত নেমেছে। শীতের সকালে নরম রোদে বাঁশের খুঁটিতে বসে শিকারের অপেক্ষায় এক ফিঙে পাখি। পারখিদিরপুর, আটঘরিয়া, পাবনা, ২১ নভেম্বর। ছবি: হাসান মাহমুদ

এক ঝলক ২১ নভেম্বর ২০১৭

Image
রাবার বাগান থেকে রাবার-কষ সংগ্রহ করছেন এক চাষি। প্রতি লিটার কষ ৫০ টাকা দরে চাষির কাছে থেকে কিনে নেয় রাবার কারখানা। মিলন কার্বারীপাড়া, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি, ২০ নভেম্বর। ছবি: নীরব চৌধুরী

সুখী দাম্পত্যজীবনের এই তো মন্ত্র!

Image
দাম্পত্যজীবনে একসময় প্রেম কি মরে যায়? ফাইল ছবি ‘বিবাহ’ শব্দটির মধ্যে আছে বহ্। যার নামে ‘বহন করা’। আর ‘বি’ উপসর্গের মানে হলো বিশেষরূপে। বিবাহ মানে, বিশেষরূপে বহন করা। সেটা স্বামী স্ত্রীকে এবং স্ত্রী স্বামীকেও। সারা জীবন এই ‘বিশেষরূপে বহন করে চলা’র পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ঠোকাঠুকি, কথা-কাটাকাটি, মান-অভিমানের শেষ নেই। দুটি পাত্র পাশাপাশি রাখলে ঠোকাঠুকি হবেই। গুণীজনেরাই বলে গেছেন, ‘বিয়ে মানে নিজের অধিকারকে অর্ধেক করে কর্তব্যকে দ্বিগুণ করে নেওয়া।’ আর রবিঠাকুর? ‘...বীরত্ব করে লাভ কী? আঘাত করলেও কষ্ট, আঘাত পেলেও কষ্ট।’ সুখময় দাম্পত্যজীবন আসলে কী? সব সময়ই মধুর? নাকি ল্যাংড়া আমের মতো অম্লমধুর? আন্তরিকতা, ধৈর্য আর ভালোবাসার পাটাতনে ভর করে আপনি চাইলেই দাম্পত্য সম্পর্কটাকে সুখময় করে তুলতে পারেন। যত্নবান হওয়াই দাওয়াই অনেকে আছেন, দাম্পত্য সম্পর্ককে ততটা গুরুত্ব দেন না। ভাবখানা এমন যে এটা তো হওয়ারই কথা ছিল! আলাদা করে ভেবে কী লাভ? দাম্পত্য সম্পর্কের চেয়ে তাঁদের কাছে কর্মক্ষেত্র, বন্ধুত্ব কিংবা অন্যান্য বিষয়ের অগ্রাধিকার বেশি। এটা মারাত্মক ভুল। কেননা দিন শেষে নিজের ঘরই মানুষের ঠি...